নিশাত শাহরিয়ার
০১ নভেম্বর, ২০২৫, 9:30 PM
রাজনীতির রাজপথে অকুতোভয় সৈনিক চৌঁধুরী মামুন
রাজনীতির রাজপথে অকুতোভয় এক সৈনিক চৌঁধুরী মামুন। সেই কৈশোর বয়স থেকেই মামুনের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন বাংলার বাঁকে বাঁকে শহীদ জিয়ার আদর্শ যেন পৌঁছে যায় বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। রাজনীতির রাজপথে আপোষহীন এই মানুষটির নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল হামলা মামলা হয়রানিসহ জেল জুলুমের মত নানা অত্যাচার অবিচার। ফ্যাসিবাদের জননী স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে দীর্ঘ ১৬ বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে কখনোই পিছপা হননি তিনি।
বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মতো আপোষহীন নেত্রীর অনুগত নেতাকর্মীরা হয়তো এমনই হয়-
এমনটাই জানান চৌঁধুরী মামুনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। হাসিনা সরকারের শাসনামলে প্রায়
৩৯টির মতো মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে নিয়মিত রাজপথে ছিলেন তিনি। ফ্যাসিবাদী সরকারের রোষানলে
পড়ে সাতবার গ্রেফতার হয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক চৌঁধুরী মামুন। দুটি মামলার
রায় হয়ে যাওয়ায় শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনাই বাকী ছিল তার। ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এমন ভাবনাটাই
সব সময় শক্তি জোগাতো সাহসী এই যুবদল নেতাকে। মৃত্যুভয় কখনো রাজপথ থেকে ফেরাতে পারেনি
তাকে।
এভাবেই
দীর্ঘ ১৬ বছর কেটেছে গলি থেকে রাজপথে। একটি স্বচ্ছ সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ বির্ণিমানে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী
বলে মনে করেন গুলশান থানা ১৯ নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা চৌঁধুরী মামুন। জুলাই গণ-অভুত্থানে
ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখবে
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শহীদ জিয়ার এই আদর্শের সৈনিক।
ছাত্র-জনতার
আন্দোলনের সফলতায় বিএনপির দীর্ঘ সময় ধরে লাগাতার আন্দোলন হাসিনার পতনে অন্যতম ভূমিকা
পালন করেছে বলে জানান তিনি। বিগত সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের পরীক্ষিত
জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী কর্মীদের যেন মূল্যায়ন করা হয় এমনটাই প্রত্যাশা করেন সময়ের
সাহসী সৈনিক চৌঁধুরী মামুন। তারেক রহমানের
আগামীর বাংলাদেশ বির্ণিমানে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান রাজধানীর
গুলশান থানা ১৯ নং ওয়ার্ডের এই যুবদল নেতা।