মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন
০১ নভেম্বর, ২০২৫, 8:15 PM
রাজধানীর উত্তরায় চাকরির নামে মিলেনিয়াম গার্ড সার্ভিস লিমিটেডের প্রতারণা
রাজধানীর আজমপুরে চাকরির নামে প্রতারণায় জড়িত ‘মিলেনিয়াম গার্ড সার্ভিস লিমিটেড’-এর অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ প্রকাশ পেতে পারে—এই আশঙ্কায় তারা ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।পরে এক সাংবাদিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে আহত সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে “মিলেনিয়াম গার্ড সার্ভিস লিমিটেড” নামের প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর আজিমপুর ও উত্তরা এলাকায় চাকরির আশ্বাস দেখিয়ে প্রশিক্ষণ ও ফরমের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিতে শনিবার বিকেলে কয়েকজন সাংবাদিক ও প্রতারিত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির আজিমপুর অফিসে যান।
কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরপরই প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা ৬/৭ জন ভাড়াটে লোক সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের অতর্কিত ওপর হামলা চালায়। মারধরসহ মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক ও চাকরি প্রত্যাশী ভুক্তভোগী আহত হন।
ঘটনাস্থলের বাইরে অবস্থানরত এক সাংবাদিক তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। কিছুক্ষণের মধ্যেই আজিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
হামলার শিকার সাংবাদিক মো. সাফায়ত বলেন, “তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পরে আমরা কিছু প্রশ্ন করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের অনেক মারধর করেছে।”
ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন শান্ত জানান, প্রতিষ্ঠানটি তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও ফরম বাবদ ৯,০৫০ টাকা নিয়েছে, কিন্তু কোনো চাকরি দেয়নি। আমরা শুধু জানতে গিয়েছিলাম, কেন চাকরি দেওয়া হয়নি। কিন্তু উল্টো আমাদের ওপর হামলা করে, পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই অফিসে অচেনা যুবকদের নিয়মিত আনাগোনা থাকে। প্রায়ই সেখানে চিৎকার চেচাঁমেচি হট্টগোলের শব্দ শোনা যায়। চাকরির নামে প্রতারক চক্রটি মানুষ ঠকাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
চাকরির নামে প্রতারণা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক- যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার না হয়। প্রশাসনের কাছে এমনটাই আশা করেন সাংবাদিক সমাজ ও ভুক্তভোগীরা।