নিশাত শাহরিয়ার
১১ নভেম্বর, ২০২৫, 3:25 PM
বাংলাদেশ বেতারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্কে এলাকাবাসী
বাংলাদেশ বেতারের গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্কিত পথচারী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১০ নভেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতারের গেটের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা না গেলেও ঘটনার সময় উপস্থিত পথচারী এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উপস্থিত আতঙ্কিত লোকজন জানান, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশ বেতারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বেশি জোরদার করা প্রয়োজন। শেরেবাংলা নগর থানার ২৮ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন বিএনপি নেতা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ বেতারে স্বৈরাচার এবং তাদের সমর্থকরা একচেটিয়াভাবে বেতারকে তাদের সুবিধামতো ব্যবহার করেছে।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ বেতারে চিহ্নিত আওয়ামী লীগের কর্মী এবং সমর্থকরা সমানতালে কাজ করছে। বিশিষ্ট আইনজীবী এবং জুলাই আন্দোলনে রাজপথের সাহসী সৈনিক জোবায়দুল ইসলাম বুলেট চিহ্নিত বেশ কয়েকজনের নাম বেতার কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানালেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়নি বেতার কর্তৃপক্ষ। বরং আগের মতই তাদের আধিপত্য রয়েছে। বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বেতারে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সমর্থকদের ব্যাপারে বেতার কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সচেতন এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উক্ত এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতারা।
তারা আরও বলেন, বেতারের অভ্যন্তরে কিংবা বাইরে যদি বড় কোন ধরনের অঘটন ঘটে বেতার কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না। কেননা এ বিষয়ে অনেক আগেই বেতার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত তাদের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে, রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ককটেল পাওয়া যায়।
একই দিনে ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি এবং রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে এবং ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।