ঢাকা, লোড হচ্ছে...
সংবাদ শিরোনাম
দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের, সোমবার থেকে কার্যকর পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনমনে আস্থা ফেরাতে হবে উপজেলার সিএ পদে চাকরি করে তিন মাসেই কোটিপতি ঘাটাইলে বংশাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু গাজীপুরে নতুন পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন কুড়িগ্রামে পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় খালেদা জিয়া ভারতীয় আধিপত্যবাধের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক: রাশেদ খাঁন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আ. লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১২২ বার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য দায়ী পতিত স্বৈরাচার সরকার: আবু হানিফ

প্রশংসনীয় উদ্যোগের পরও বিতর্ক

#

নাজমুল আদনান (টাঙ্গাইল)

২৪ অক্টোবর, ২০২৫,  5:11 PM

news image

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'সন্ধানপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ'-এর নবগঠিত অ্যাডহক কমিটির সম্মানিত সভাপতি মোঃ বায়েজিদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এক গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসার দাবিদার হন।

তবে সচেতনতা সৃষ্টির এই ব্যানারগুলো গাছে পেরেক মেরে স্থাপন করার ফলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং সভাপতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

২৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. রোজ বৃহস্পতিবার সন্ধানপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ'র অ্যাডহক কমিটির প্রথম মতবিনিময় সভা শেষে  প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে সামাজিক ও পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ব্যানারগুলো স্থাপন করা হয়। ব্যানারগুলোতে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বার্তাগুলো হল-

​১. নেশাজাতীয় দ্রব্য বহন বা সেবন নিষিদ্ধ।

২. অসামাজিক কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

৩. মাঠে গবাদিপশু চরানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

​এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা এবং একটি নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মোঃ বায়েজিদ হোসেনের এই দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ স্থানীয় মহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল।

​প্রশংসনীয় বার্তা থাকা সত্ত্বেও ব্যানার স্থাপনের প্রক্রিয়া নিয়েই মূল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যানারগুলো বাঁধার জন্য গাছে সরাসরি পেরেক ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য এবং বৃক্ষ সুরক্ষার নীতির পরিপন্থী। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী মহল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।

নেটিজেনরা মন্তব্য করেন যে, যেখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে, সেখানে নিজেরাই পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল নয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, "গাছের জীবন বিপন্ন করে সচেতনতার বার্তা দেওয়া কতটা যৌক্তিক?"

 ​গাছে পেরেক মেরে ব্যানার স্থাপন প্রকৃতিবিরোধী এবং বৃক্ষের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারিভাবে গাছে পেরেক মারা বা কোনো প্রকার ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

​এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং অ্যাডহক কমিটির সম্মানিত সভাপতি- উভয়কেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সচেতনতামূলক উদ্যোগের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, ব্যানার স্থাপনের ভুল পদ্ধতি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলো দাবি করেছে, দ্রুত পেরেক অপসারণ করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে (যেমন: দড়ি বা ফিতা ব্যবহার করে) ব্যানারগুলো পুনঃস্থাপন করা হোক এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য অঙ্গীকার করা হোক।

​এই বিষয়ে 'সন্ধানপুর গণ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ'-এর কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। 

তবে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সদিচ্ছার প্রকাশ হিসেবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ।