কামরুল হাসান রুবেল (কোম্পানীগঞ্জ)
০২ অক্টোবর, ২০২৫, 7:05 PM
নোয়াখালীর কবিরহাটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় আহত ৫
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে স্টিল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীরা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ওই এলাকার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের অফিস ভাংচুর, মালামাল ও ক্যাশ থেকে ২০লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
আহতরা হলো- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোঃ মাহিদুল ইসলাম সিয়াম, অফিস সহকারি আবু ছায়েদ, এক্সেভেটর চালক মোঃ ইউছুফ, কর্মচারী ছায়েদল হক হৃদয় ও আইয়ুব আলী সোহাগ। আহতদেরকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় বুধবার রাতেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মোঃ মাহিদুল ইসলাম সিয়াম বাদী হয়ে ৫জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫৫-৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার পার হওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ীক পূর্ব বিরোধের ঘটনার মিমাংসিত বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ হোসাইন কবিরের সাথে হামলা লুটপাটের নেতৃত্বে থাকা মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজীর সাথে বিরোধ দেখা দেয়। ব্যবসায়ী হোসাইন কবিরের ব্যবসায় লাভ ও উন্নতি দেখেই এ বিরোধের সূত্রপাত। এর জের ধরে লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক জবর দখল করার উদ্দেশ্যে সোহেল সিরাজীর নেতৃত্বে নিরব সিরাজী, আনসার উল্যাহ, ইসমাইল হোসেন সৈকত, শাহাদাত হোসেনসহ ৫৫-৬০ জনের দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা প্রথমে বিপুল সংখ্যক ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অফিসে প্রবেশ করে সকলকে পিটিয়ে জখম করে বের করে দেয়। এসময় ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ক্যাশ ভেঙ্গে ২০লাখ টাকা, কর্মচারীদের পকেটে থাকা ৯হাজার ৮শ ৮০টাকা এবং মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোতাক্কেল বিল্লাহ প্রকাশ সোহেল সিরাজী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসত্য। ্ ধরনের ঘটনা ঘটেনি এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক আমি নিজেই বলে দাবী করেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন মিয়া প্রথমে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জ থানার এলাকায় হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা লিখলেও কী, না লিখলেও বা কী।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ঘটনাস্থলটি কবিরহাট থানা এলাকায় হওয়ায় ওই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কবিরহাট থানার ওসির বক্তব্যে ঘটনাস্থল কোম্পানীগঞ্জ বলার পর তিনি বলেন, আমাদের থানা মধ্যে হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।