মো: আল আমিন (বিশেষ প্রতিনিধি)
০৯ অক্টোবর, ২০২৫, 12:00 PM
চিঠি থেকে ডিজিটাল যুগে নবজাগরণের পথে ডাক বিভাগ
চিঠির দিন পেরিয়ে আমরা এখন ডিজিটাল যুগে। তবুও ডাক বিভাগ কেবল অতীতের স্মৃতি নয়—এটি হতে পারে আগামীর সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। একসময় মানুষের যোগাযোগের প্রাণসেতু ছিল ডাক সেবা, এখন আধুনিক প্রযুক্তি, অনলাইন ট্র্যাকিং, মোবাইল পেমেন্ট ও দ্রুত ডেলিভারির মাধ্যমে এটি হয়ে উঠতে পারে দেশের ই-কমার্স ও ডিজিটাল সেবার নির্ভরযোগ্য অবলম্বন।
আজ ৯ অক্টোবর, বিশ্ব ডাক দিবস। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বের প্রতিটি দেশে ডাক বিভাগের ইতিহাস, ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনের গুরুত্ব স্মরণে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (UPU)—যার মাধ্যমে বিশ্বের ডাকব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে একত্রিত হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থার উদ্যোগে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যাপন শুরু হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জনগণের জন্য ডাক: স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর’—যার লক্ষ্য জনগণের সঙ্গে সরকারের সংযোগ বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়নে ডাক সেবার ভূমিকা তুলে ধরা এবং আধুনিক ডাক ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর ডাক ভবনে দুই দিনের বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এতে থাকবে প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, উদ্ভাবনী সেবা প্রদর্শন এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে বিশেষ সেমিনার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে ডাক বিভাগকে স্মার্ট, দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা গেলে এটি আবারও মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি, অনলাইন ট্র্যাকিং, মোবাইল পেমেন্ট ও দ্রুত ডেলিভারির মাধ্যমে ডাক সেবাকে দেশের ই-কমার্স ও ডিজিটাল অর্থনীতির মূল অবলম্বনে পরিণত করা সম্ভব।
এক সময় চিঠি ও শুভেচ্ছার বাহক ছিল ডাক বিভাগ, এখন সময় এসেছে ডিজিটাল যুগে তার নতুন রূপে ফিরে আসার—স্মার্ট বাংলাদেশের ডাকের ডাকেই শুরু হোক সেই নবজাগরণ।
বিশ্ব ডাক দিবস আজ—চিঠি থেকে ডিজিটাল সেবায়, নতুন আস্থার যাত্রা শুরু!আধুনিক প্রযুক্তি ও ই-কমার্স সেবার সঙ্গে যুগোপযোগী রূপান্তরে ডাক বিভাগ আবারও হতে পারে জনগণের আস্থার প্রতীক