নিশাত শাহরিয়ার
১৯ অক্টোবর, ২০২৫, 3:48 AM
কিংবদন্তি ফুটবলার থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ
জনপ্রিয় ফুটবলার থেকে রাজনীতির রাজপথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদ জিয়ার সাহসী সৈনিক আমিনুল হক স্বাধীন বাংলার এক গর্বিত সন্তান।
বলছি সেই জাতীয় বীরের কথা- যিনি দেশের জন্য গোলবারের সামনে অতন্দ্র প্রহরীর মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে লাল-সবুজের পতাকার সম্মান অক্ষুন্ন রেখেছিলন। তিনি আমাদের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক আমিনুল হক। যেই হাত জোড়া দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছিল অথচ নিষ্ঠুর সময়ের বাস্তবতায় সেই হাতজোড়ায় অন্যায়ভাবে হাতকড়াও পরানো হয়েছিল। কত শত নির্যাতন, কারাবাসসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের নিষ্ঠুরতার চরম মাত্রায়ও দমে যাননি তিনি।
স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার হয়তো ভাবতেও পারেনি আমিনুলরা জন্মায় লড়াইয়ের জন্য আত্মসমর্পণের জন্য না। আমিনুলের মত দেশ প্রেমিকেরাই জানে জনতার অধিকার আদায়ে কতটা পথ পাড়ি দিতে হয়।
ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ আমিনুল হকের জন্ম ১৯৮০ সালের ৫ অক্টোবর। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে রাজধানীর রাজপথে জাতীয়তাবাদী আদর্শের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙ্গানিকে ভয় না পাওয়া অকুতোভয় সৈনিক আমিনুল হকের লক্ষ্য নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা, জাতীয়তাবাদী আদর্শের চেতনায় আগামীর পথ পাড়ি দেয়া।
গোলবারের নিচে অতন্দ্রপ্রহরীর মত যেমনটা সামলে রেখেছিলেন দেশের মান মর্যাদা সম্মান তেমনি রাজনীতির ময়দানেও ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি'র রাজনৈতিক আদর্শকে যত্নসহকারে আগলে রেখেছেন সময়ের সাহসী এই নেতা।
২০০২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন দেশসেরা গোলকিপার আমিনুল হক। সময়ের সাথে সাথে দেশে-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জুনের পর ২০১৩ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেয়া জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত এই মানুষটি এখন রাজনীতির মাঠে মোস্ট পপুলার পলিটিকাল ফিগার।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়ানো দেশের অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় নতুন উদ্যোমে সচল করার লক্ষ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে আমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।