ঢাকা, লোড হচ্ছে...
সংবাদ শিরোনাম
দাম বাড়লো জ্বালানি তেলের, সোমবার থেকে কার্যকর পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনমনে আস্থা ফেরাতে হবে উপজেলার সিএ পদে চাকরি করে তিন মাসেই কোটিপতি ঘাটাইলে বংশাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু গাজীপুরে নতুন পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন কুড়িগ্রামে পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় খালেদা জিয়া ভারতীয় আধিপত্যবাধের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক: রাশেদ খাঁন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আ. লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল ১২২ বার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য দায়ী পতিত স্বৈরাচার সরকার: আবু হানিফ

কুড়িগ্রামে ৩৮ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদককারবারী গ্রেফতার

#

এ কে এম শামসুজ্জোহা চৌধুরী (কুড়িগ্রাম)

১৬ নভেম্বর, ২০২৫,  10:36 AM

news image

মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ৩৮ বোতল ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলার চর মাধবরাম সবুজ পাড়া এলাকায় মো: আহাদ আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেলসহ তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক মাদক কারবারির নাম মোঃ হালিম মিয়া (পিতা: মৃত আবুল কাদের)। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড হাসানপাড়া গ্রামে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায়। এ সময় মোটরসাইকেলে করে মাদকদ্রব্য পাচারের চেষ্টাকালে মোঃ হালিম মিয়াকে ৩৮ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক বহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: আপেল আলী মন্ডল জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একের পর এক এই সফল ও চৌকস অভিযানকে স্বাগতম জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল। তারা মনে করছেন, এমন কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেই সমাজ থেকে মাদকের ভয়াবহতা দূর করা সম্ভব।

এ বিষয়ে যুবক রাশেদুল ইসলাম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চৌকস অভিযানে একের পর এক মাদক কারবারি ধরা পড়ছে। এতে মাদক কারবারির হাতারা (চক্র) সচেতন হচ্ছেন এবং ভীত হচ্ছেন। এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা উচিত।

অন্যদিকে, জেলার সচেতন নাগরিক রিয়া আক্তার এই অভিযানকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, মাদকের মূলে আঘাত হানতে এমন অভিযান জরুরি ছিল। তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে অধিদপ্তরের এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং জেলা দ্রুত মাদকমুক্ত হবে।